চোরকে উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হলো পুলিশ। কারণ পুলিশের সামনে এলাকাবাসী নিজের হাতে আইন তুলে নিতে চেয়েছিল। এতে উত্তপ্ত হয়ে উঠে চুরাইবাড়ি থানার অন্তর্গত লক্ষ্মীনগর এলাকা। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চুরাইবাড়ি থানা এলাকায় চুরির ঘটনা বৃদ্ধি পাওয়ায় সাধারন মানুষ পালা করে রাতের বেলায় এলাকায় প্রহরা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করে। রবিবার রাতে চুরাইবাড়ি থানার অন্তর্গত লক্ষ্মীনগর এলাকার লোকজন এক চোরকে আটক করে পুলিসকে খবর দেয়।
কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছাতে বিলম্ব করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ধৃত চোরকে নিজেদের হেপাজতে নিতে চাইলে ঘটে বিপত্তি। এলাকায় রাতের বেলায় প্রহরার দায়িত্বে থাকা যুবকরা পুলিশকে জানায় ধৃত চোরকে ৫ মিনিটের জন্য তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য। কিন্তু পুলিশ ধৃত চোরকে নিজেদের হেপাজতে নিয়ে পুলিশের গাড়িতে তুলে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। তখন সেই যুবকরা পুলিশের গাড়ির পিছু ধাওয়া করে চুরাইবাড়ি থানার সামনে উপস্থিত হয়। পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। এমনকি দুষ্কৃতকারী দলটি বাইক নিয়ে থানায় ছুটে এসে থানার সামনেও পুলিশের সাথে খন্ড যুদ্ধে লিপ্ত হয়। তাতে আক্রান্ত হন চুরাইবাড়ি থানার ওসি ইন্সপেক্টর সমরেশ দাস, সাব ইন্সপেক্টর বিশ্বজিৎ চৌধুরী, প্রফেশনাল সাব ইন্সপেক্টর সুদীপ জমাতিয়া, কনস্টেবল খোকন দেব,এসপিও আমিনুল হক ও এক মহিলা কনস্টেবল।সাথে ঐ দলটি TR01BH/0649 নম্বরের থানার বলেরো গাড়ির পেছনের গ্লাস গুড়িয়ে দেয়।
থানার সামনের এমন ঘটনা দেখে নাকা পয়েন্টে থাকা পুলিশ কর্মীরা সংঘবদ্ধ ভাবে ঐ দলটির বিরুদ্ধে রুখে দাড়ালে সকলেই বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়। তবে তাদের মধ্যে থাকা অরুপ নাথ(৩০), পবিত্র নাথ(৩৫), দীপক গোস্বামী (২৯), অজয় দেবনাথ (২৭) রসময় দেবনাথ, অনিমেষ নাথ(৩৭) এবং বিজিত নাথ(৩৪) নামের পাঁচ যুবককে আটক করে পুলিশ। জানা গেছে উভয়ের বাড়ি লক্ষীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এক, দুই এবং তিন নং ওয়ার্ডে। সাথে সকলের কাছ থেকে দা, লাঠি, রড, ভোজালি, ছুরি , সেল্ফ ডিফেন্স স্টিক ইত্যাদি উদ্ধার হয়। রাতের ঘটনাস্থলে ছুটে যান মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। কিন্তু ঘটনার বিষয়ে পুলিশ আধিকারিকরা মুখ খুলতে চাইছেন না। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে।