৩৬ মাইল এলাকায় মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় আটকে দিল ক্ষুদ্ধ জনতা। পরবর্তী সময়ে পুলিশের হস্তক্ষেপে জনতা মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় ছেড়ে দিলেন। ঘটনা বৃহস্পতিবার সকালে মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীন ৩৬ মাইল এলাকার হাতি পার্কের সামনে আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, প্রায় এক মাস ধরে ৩৬ মেইল এলাকার বিভিন্ন গ্রামের মানুষ পানীয় জলের অভাবে ভুগছিল। অভিযোগ রাস্তার পাশে জলের ডিপ টিউবওয়েল থাকলেও জল দেওয়া হচ্ছে না। দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট হয়ে পড়ে আছে।
দিনে দুইবার জল দেওয়ার কথা থাকলেও জল দেওয়া তো দূরের কথা, নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। ফলে এলাকার মানুষ পানীয় জলের সংকটে ভুগছে। বাধ্য হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল প্রায় ৬ টার নাগাদ আসাম – আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক পান্নালাল সেন, মুঙ্গিয়াকামি থানার ও সি গৌতম দেববর্মা, তেলিয়ামুড়া মহকুমা শাসক অফিসের ডিসিএম সহ অন্যান্য আধিকারিকগন। এদিকে অবরোধের কারনে রাস্তার পাশে প্রচুর গাড়ি আটকে পরে। শুধু পণ্যবাহী ও যাত্রীবাহী গাড়ি নয়, জনতার ক্ষোভের মুখে পড়ল মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়। যদিও গাড়ির ভেতর মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। মুখ্যমন্ত্রী যেদিন আমবাসা একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রেল দিয়ে রওনা হয়েছিলেন। গাড়িতে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না। তারপরেও ক্ষুদ্ধ জনতা গাড়ি ঘিরে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর খালি গাড়ির সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন।
এমনকি একটা সময়ের পর মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় ব্যাক গেয়ার দিতে বাধ্য হয়েছে। তারপর পুলিশের ঘোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ের গাড়ি গুলি এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন মুখ্যমন্ত্রীর গাড়িতে এক জনজাতি মহিলা জোরে হাত দিয়ে আঘাতও করেছেন। দীর্ঘ আলোচনার পর প্রশাসনের আশ্বাসে প্রায় পাঁচ ঘন্টা পর সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয় স্থানীয় এলাকাবাসী। এ বিষয়ে মহকুমা পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, রাস্তা, পানীয় জল এবং বিদ্যুতের দাবিতে তারা পথ অবরোধ করেছিল। তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এলাকার নষ্ট ডিপ টিউবওয়েলটি তাদের দাবি মতো ঠিক করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি তাদের গ্রামের রাস্তাটিও সংস্কার করা হবে এবং বিদ্যুতের যে সমস্যা রয়েছে সেটাও সমাধান করার জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে। তারপর অবরোধ প্রত্যাহার করে তারা।