সকালে আচমকা ঘূর্ণিঝড়ে কমলা সাগর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত লেম্বুতলী, ধনছড়ি, গকুলনগর, রাস্তার মাথা এলাকায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বহু বাড়ি ঘর ভেঙে তছনছ হয়ে যায়, লন্ডভন্ড হয়ে যায় বিদ্যুৎ সংযোগ, গাছ এবং বিদ্যুতিক খুঁটি ভেঙ্গে পড়ে নষ্ট হয় বহু গাড়ি। গাছ উপড়ে পড়ে বন্ধ হয়ে যায় আগরতলা – কমলাসাগর সড়ক। এলাকায় সৃষ্টি হয় চাঞ্চল্য।
খবর পেয়ে ছুটে আসে টি এস আর জওয়ানরা। স্থানীয়দের সাথে রাস্তা পরিষ্কারের কাজে হাত লাগায় তারা। বহু গাছপালা কেটে রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। মানুষের বাড়িঘরে গিয়ে তাদের খোঁজখবর নেওয়া হয়। দেখা যায় ঘূর্ণিঝড়ে বহু বাড়ি ঘরের ছাউনি উড়ে গেছে। কয়েকটি পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে ইতিমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে লেম্বু তলী স্কুলে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশালগড় মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিক প্রসেনজিৎ দাস।
ক্ষতিগ্রস্ত এক ব্যক্তি জানান ঝড়ের সময় তিনি নিজের ঘরের দরজায় দারিয়ে ছিলেন। পাশে ছিল ওনার স্ত্রী। স্ত্রীর কোলে ওনার সন্তান ছিল। আচমকা ঝড়ের দাপটে ওনার ঘরের ছাউনি উরে যায়। তখন তিনি স্ত্রীকে সন্তান সহ খাটের নিচে আশ্রয় নেওয়ার জন্য বলেন প্রান বাচাতে। ওনার স্ত্রী ও সন্তান খাটের নিচে আশ্রয় নিয়ে কোনক্রমে প্রান রক্ষা করে। ঝড়ের দাপটে গাছ ভেঙ্গে পরে আগরতলা-কমলাসাগর সড়কে যান চলাচল স্তব্ধ হয়ে যায়। ঝড়ের পর রাস্তা পরিষ্কার করার জন্য হাত লাগায় টি এস আর জওয়ানরা। ঝড়ের দাপটে আনুমানিক ৭০ টি পরিবারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। কয়েকটি পরিবার বাড়ি ঘর ছেড়ে ইতিমধ্যে আশ্রয় নিয়েছে লেম্বু তলী স্কুলে। এদিকে ঝড়ের পর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ছুটে যান বিশালগড় মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিক প্রসেনজিৎ দাস। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সরজমিনে ঘুরে দেখেন। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের লোকজনদের সাথে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলিকে প্রশাসন থেকে সাহায্যের আশ্বাস দেন। এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি খবর পাওয়া গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি না থাকায় গাছপালা ও বিদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বহু মানুষের।