জেলা হাসপাতালের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে খোয়াই জেলার শাসক-শরিক তিন তিপ্রাসা মন্ত্রী-বিধায়ক বঞ্চিত! আমন্ত্রণ না পেয়ে ক্ষোভ তিপ্রামথা বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মার!

MLA Ranjit Debbarma expresses anger over not getting invitation at Goverenment Program
MLA Ranjit Debbarma expresses anger over not getting invitation at Goverenment Program

গোপাল সিং, ত্রিপুরা, ২৩ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার:

খোয়াই জেলা হাসপাতাল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। অনুষ্ঠানে ব্রাত্য রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন রামচন্দ্রঘাট কেন্দ্রের তিপ্রামথা দলের বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা।

ফোনে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিধায়ক রঞ্জিত দেববর্মা বলেন, খোয়াই জেলা হাসপাতালের স্থান পরিবর্তন ঘিরে সমস্যা হয়েছিল। কল্যানপুরের বিধায়ক চেয়েছিলেন জেলা হাসপাতালটি উনার বিধানসভা কেন্দ্রে স্থানান্তর করতে। কিন্তু রঞ্জিত দেববর্মার হস্তক্ষেপে এবং মুখ্যমন্ত্রী তত্বাবধানে খোয়াই ধলাবিলে জেলা হাসপাতাল নির্মানের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। ৫৮ লক্ষ টাকা এখন অবধি অনুমোদন হয়েছে। এত কিছু করার পরও কেন তিনি বা তিপ্রাসা মন্ত্রী-বিধায়করা অনুষ্ঠানে ব্রাত্য রইলেন? প্রশ্ন রঞ্জিত দেববর্মার।

খোয়াই জেলার একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি উন্নয়ন কর্মসূচিতে তিনজন তিপ্রাসা মন্ত্রী ও নির্বাচিত বিধায়ককে আমন্ত্রণ না জানানো অত্যন্ত দুঃখজনক ও হতাশাজনক। তাঁর অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার উপস্থিতিতে এত বড় একটি সরকারি অনুষ্ঠান আয়োজিত হলেও খোয়াই জেলার তিনজন তিপ্রাসা জনপ্রতিনিধি—শরিক দলের মন্ত্রী অনিমেষ দেববর্মা, শাসক দলের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা এবং তিনি নিজে একজন নির্বাচিত শরিক দলের বিধায়ক—কাউকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।

রঞ্জিত দেববর্মার দাবি, সরকারের কোনও উন্নয়ন কর্মসূচিই সাম্প্রদায়িক বা বিভাজনমূলক হওয়া উচিত নয়। এই ধরনের ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে নানা প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে এবং মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহার নেতৃত্বাধীন সরকারের কার্যপদ্ধতি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি অত্যন্ত সংবেদনশীল এবং প্রশাসনিক শিষ্টাচার ও গণতান্ত্রিক সৌজন্যের পরিপন্থী। এই ঘটনার মাধ্যমে সরকার কী বার্তা দিতে চাইছে, তা নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিপ্রামথা বিধায়ক।