নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপাল সিং, ত্রিপুরা
নেশামুক্ত খোয়াই গড়ার লক্ষ্যে পুলিশের দবঙ্গগিরি অব্যহত। গাড়ি চেকিং, টহলদারিতে খোয়াই থানার তৎপরতা তুঙ্গে। অবৈধ চোরাচালান এবং মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে আসন্ন উৎসব মরসুমকে সামনে রেখে খোয়াই থানার ওসি কৃষ্ণধন সরকারের নেতৃত্বে ৭০ ব্যাটালিয়নের বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে যৌথভাবে জাতীয় সড়কের ধারে খোয়াই থানার অন্তর্গত বড়বাঘাই এলাকায় গাড়ি তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি আজ একজন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করতে সক্ষম হলো খোয়াই থানার পুলিশ। ধৃতের নাম জয়ন্ত সরকার (পিতা—ব্রজেন্দ্র সরকার), বাড়ী শ্রীমঙ্গল, বাংলাদেশ।
এদিকে চলতি বছরজুড়ে খোয়াই জেলা পুলিশ সুপার রাণাদিত্য দাস, খোয়াই মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ডি. কুদিয়ারাসু, খোয়াই থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি কৃষ্ণধন সরকার, সুভাষপার্ক পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত ওসি রঞ্জিত সরকার ও মহিলা থানার ওসি মীণা দেববর্মার তৎপরতায় একাধিক উল্লেখযোগ্য অভিযান এখন পর্যন্ত পরিচালিত হয়েছে যেমন— ক্যানাবিস (গাঁজা): জুলাই ২০২৫-এ দুইটি পৃথক অভিযানে আনুমানিক ২০৭ কেজি গাঁজা উদ্ধার হয়, যার বাজারমূল্য প্রায় ₹৫০ লক্ষ। এ ঘটনায় অন্তত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ইয়াবা ট্যাবলেট: সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ তেলিয়ামুরা ও চাকমাঘাট এলাকায় বিশেষ অভিযানে আনুমানিক ₹৩.১ কোটি টাকার ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় অন্তত ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অবৈধ মদ (IMFL ও বিদেশি মদ): খোয়াই থানা, সুভাষপার্ক পুলিশ ফাঁড়ি ও মহিলা থানার তল্লাশিতে একাধিকবার কয়েক ডজন থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি কার্টন বোতল উদ্ধার হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, এক অভিযানে আনুমানিক ৭২ বোতল (৭৫০ মি.লি.) জব্দ করা হয়েছে, আবার অন্য অভিযানে ৬ কার্টন মদ ধরা পড়েছে। সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত অন্তত ৭ জনকে গ্রেপ্তার বা আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশের স্থানীয় সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে আরও কয়েকটি ঘটনায় ব্যক্তিদের আটক করার উল্লেখ থাকায় প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সব মিলিয়ে, উৎসব মরসুমের আগেই খোয়াইতে পুলিশের এ ধরনের অভিযানকে স্বাগত জানাচ্ছেন খোয়াইবাসী। স্থানীয় মানুষ আশা করছেন, ধারাবাহিক তৎপরতায় খোয়াই জেলা ও মহকুমা অবৈধ ব্যবসার শৃঙ্খল থেকে একদিন মুক্তি পাবে এবং সমাজ আরও নিরাপদ হয়ে উঠবে।