স্কুলের ভেতরে নাবালিকা ছাত্রীদের সাথে অশ্লীল আচরণ এবং শ্লীলতাহানির বিরুদ্ধে এক শিক্ষককে গ্রেপ্তার করল বোধজঙনগর থানার পুলিশ। একদল অভিভাবক মহিলা স্কুলের স্কুলের ভেতরে ঢুকে ওই শিক্ষককে জুতাপেটা করে পরে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গুণধর শিক্ষকের নাম যতন সূত্রধর (৫৮)। তিনি পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার অধীন খয়েরপুর দলুরা খাঁস নোয়াগাঁও জুনিয়র বেসিক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক।
অভিযুক্ত শিক্ষক যতন সূত্রধর
মঙ্গলবার সকাল ৯ টা নাগাদ স্কুলের ভেতরে ঢুকে ওই শিক্ষককে বেধড়ক গণধোলাই দেন কয়েকজন মহিলা। টেনেহিঁচড়ে শিক্ষকের জামা কাপড় ছেড়ে দেওয়া হয়। স্কুলের ভেতরে ঢুকে শিক্ষককে এভাবে মারধরের অভিযোগে পাল্টা মামলা নিয়ে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় অভিযুক্ত শিক্ষক যতন সূত্রধর বরাবরই লম্পট স্বভাবের। তার বাড়ি খয়েরপুর এলাকাতেই।শিক্ষক যতন সূত্রধরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি স্কুলের শিশু ছাত্রীদের সঙ্গে অশ্লীল কথাবার্তা বলেন এবং তাদেরকে নোংরা ভাবে শরীরে হাত দেন। পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ুয়া নাবালিকাদের ব্যায়াম শেখানোর নাম করে অনেকদিন যাবত তাদের শার্ট খুলতে বাধ্য করার অভিযোগ রয়েছে এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। দীর্ঘদিন যাবত স্কুলের ছাত্রীদের সাথে শিক্ষকের অশ্লীল কর্মকান্ড চলছে বলে অভিযোগ।
এর মধ্যেই গত বৃহস্পতিবার এলাকার পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পিটি শেখানোর নাম করে জামা খুলে তার সাথে অশ্লীল আচরণ করেন বলে অভিযোগ। অভিযোগ শিক্ষক জোর করে ছাত্রীর গায়ে হাত লাগান এবং তাকে শারীরিক নির্যাতন করেন। ছাত্রীটি বাড়িতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়ে এবং সমস্ত ঘটনা তার মাকে খুলে বলে। এরপরই সেই ছাত্রীর মা অন্য অভিভাবকদের সাথে কথা বলেন। আরো কয়েকজন ছাত্রী এই শিক্ষকের অশ্লীল কথাবার্তার কথা তাদের অভিভাবকদের জানিয়েছিল। শিক্ষকের অশ্লীল কাণ্ডকারখানার খবর পেয়ে অভিভাবকরা পুরো বিষয়টি স্থানীয় নেতৃত্বকে জানিয়েছিলেন বলেও সূত্রের দাবি। এরপরই সিদ্ধান্ত হয় শিক্ষককে হাতেনাতে ধরে উচিত শিক্ষা দেওয়া হবে। সেই পরিকল্পনায় মঙ্গলবার সকালে স্কুলে হানা দেয় একাংশ অভিভাবক। মহিলারা স্কুলের ভেতরে গিয়ে ঐ শিক্ষককে প্রচন্ডভাবে গণধোলাই দেন। কয়েকজন জুতা খুলে শিক্ষক মশাইকে জুতা পেটা করেন এবং তার শরীরের সার্ট এবং গেঞ্জি ছিঁড়ে খুলে ফেলেন।