Prepaid meters became tension for TSECL consumers
Prepaid meters became tension for TSECL consumers

হঠাৎই বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটার রিচার্জের নামে গ্রাহকদের থেকে কেটে নেওয়া হচ্ছে অধিক অর্থ।মূলত শেষ রিচার্জে যে টাকায় যতো ইউনিট দেওয়া হতো গ্রাহকদেরকে। বর্তমানে সেই রিচার্জে গ্রাহকদেরকে অনেকটাই কম ইউনিট দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ বিদ্যুৎ ভোক্তাদেরগত কয়েকদিন ধরে এই বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে গ্রাহকদের মধ্যে।

ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিক কর্পোরেশন লিমিটেডের প্রিপেড ইলেকট্রিক কার্ড নিয়ে চলছে গ্রাহকদের হয়রানির শিকার। ভোক্তাদের অভিযোগ, কেউ ১০০০ টাকা রিচার্জে আগে যেখানে পেতেন ১০০ ইউনিট। সেখানে বর্তমানে ১৩০০ টাকা রিচার্জ করে পাচ্ছেন মাত্র ৫০ থেকে ৫৫ ইউনিট। কারো ক্ষেত্রে সেটা কমে গিয়ে হয়ে যাচ্ছে ২০ থেকে ২২ ইউনিটও। শুধু তাই নয়,কারো কারো ক্ষেত্রে ২০০ বা ৩০০ টাকার রিচার্জ করতে গেলেও, এত কম টাকার রিচার্জ করা যাবে না বলে নিগম অফিস থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের। এই নিয়ে গ্রাহকরা কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞেস করলে তারা ঊর্ধ্বতন কর্তাদের দোহাই দিয়ে দায়িত্ব খালাস করছেন বলেও অভিযোগ। বিভিন্ন চার্জের নামে কেটে নিচ্ছে পুরো টাকা।আগাম গ্রাহকদের না জানিয়েই এই টাকা কাটায় গ্রাহকদের মাথায় হাত। কোথায় যাচ্ছে বাকি টাকা বলতে পারছে না কেউ।তবে গ্রাহকরা এবিষয়ে জানতে চায় কর্পোরেশনের কাছে। বিদ্যুৎ নিগমের প্রিপেড মিটার চালু হওয়ার পর থেকেই এক ধরনের হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে গ্রাহকদের। ঠিকমতো রিচার্জ করতে পারছে না আবার রিচার্জ করতে এসে নেটওয়ার্কের সমস্যা।কেন এভাবে টাকা কাটা হচ্ছে প্রশ্ন গ্রাহকদের। শুক্রবার এরকম দৃশ্য ধরা পড়েছে বড়দোয়ালী বিদ্যুৎ নিগমের অফিসে। এই বিষয়ে বিদ্যুৎ নিগমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন এক বিদ্যুৎ ভোক্তা।

যানা গেছে বিদ্যুৎ নিগমের সঙ্গে চুক্তিতে রিচার্জ মিটার গ্রাহকদের ঘরে পৌঁছে দিয়েছে জেনাস নামে একটি বেসরকারি সংস্থা।আর তাদের রিচার্জের সফটওয়ার আপডেট করার পরই এই সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে গ্রাহকদের। কিন্ত কবে থেকে এমনটা হচ্ছে তার উত্তর দিতে পারছেন না বিদ্যুৎ নিগমের আধিকারিকরা। আর এর থেকেই স্পষ্ট ত্রিপুরা স্টেট ইলেকট্রিসিটি কর্পোরেশন লিমিটেড থেকে নতুন সিস্টেমে গ্রাহকদের টাকা কাটলেও তারা এ বিষয়ে অবগত করায়নি নিগমের অফিসগুলোকে। আর এই পরিস্থিতিতে ভোক্তাদের ক্ষোভের দাবানল ছড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন নিগম অফিসগুলোতে।যে কোন সময় এই ক্ষোভ মারাত্মক আকার নিতে পারে বলে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।গ্রাহকরা চাইছেন তাদের পকেট না কেটে পুরনো পদ্ধতিতেই করা হোক রিচার্জের ব্যবস্থা।

এখন দেখার রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম কোন পথে হাটে।