ফের কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে গেলো পুলিশ কর্মী খুনের ঘটনায় সাজা প্রাপ্ত কয়েদি স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরা। এই নিয়ে তৃতীয়বার সে সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে গেল। জানা যায় ২০১৪ সালে চুরির মামলায় পুলিশ তাকে আটক করলে আদালতের নির্দেশে তার ঠাই হয় বিশালগড়স্থিত কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে।
কিন্তু সে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে যায়। তারপর পুলিশ কর্মী অঙ্ক্য মগ হত্যার ঘটনায় তাকে ফের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সেই মামলায় আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে সাজা ঘোষণা করে। ফের একবার তার ঠাঁই হয় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। চার বছর পূর্বে সে দ্বিতীয়বারের মতো কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে পালিয়ে যায়। তারপর বহিঃরাজ্য থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে আসে।
পুনঃরায় তার ঠাই হয় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে কর্মরত জেল পুলিসদের গাফিলতির কারনে তৃতীয় বারের মতো ফের সে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের কয়েদিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার সময় দেখা যায় কয়েদি স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরা নেই। কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের জেলার দেবাশীষ শীল ও সাব জেলার নান্টু দাসের নজরে আসে বিষয়টি।
তারপর শুরু হয় পুলিশের দৌড়ঝাঁপ। সিপাহীজলা জেলার পুলিশ সুপার, আইজি প্রিজন সহ বিশালগড় থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ছুটে যায় কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। আসামি স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরার বাড়ি দক্ষিন জেলার মনু বাজারের ছোট সাকবাড়ি এলাকায়। পলাতক কয়েদি স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরার বিরুদ্ধে বিশালগড় থানায় মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।
দৌড়ঝাপ চলছে রাজ্য পুলিশের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের। এখন দেখার পুলিশ পলাতক কয়েদি স্বর্ণ কুমার ত্রিপুরাকে জালে তুলতে পারে কিনা। তবে রাজ্য পুলিশের চরম গাফিলতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। শুধুমাত্র বিলাসবহুল গাড়ি দিয়ে এদিক ওদিকে ঘোরাঘুরি করা এবং কারো সানগ্লাস লাগিয়ে নিজেদের জাহির করা সিংহভাগ পুলিশ আধিকারিকের কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণের পয়সায় মাসে মাসে মোটা অংক বেতন পেয়ে তারা এখন বেশ আরামে রয়েছে। যার পরিণামে ঘটছে এই ধরনের ঘটনা।