বৃহস্পতিবার উদয়পুর রাজর্ষি হলে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস সেবা দলের রাজ্য সন্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কংগ্রেস সেবা দলের পতাকা উত্তোলনে মধ্যে দিয়ে সন্মলনের সূচনা করে এক মিছিল হয়। মিছিল শেষে রাজর্ষি হলে শুরু হয় হল সভা। সভায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে শুভ সূচনা করেন সন্মেলনে সর্বভারতীয় কংগ্রেস সেবাদলের চেয়ারম্যান লালজী দেসাই, সি ডব্লিউ সি -র সদস্য বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মণ, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশিষ কুমার সাহা, প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায় সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।
সভায় বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকারকে একহাত নিয়ে বলেন, আদানি আম্বানি বাঁচলে ভারতীয় জনতা পার্টি বাঁচবে। তাই কিছু কিছু পরিবার কেনে ভোটে জিতে বিজেপি দাবি করছে জনগণের ভোটে তারা জয়ী হয়েছে। অথচ দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, খাদ্য এবং তথ্য জানার অধিকার আইন প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের আমলে হয়েছে। তাই আদানি, আম্বানি নিজ স্বার্থে ষড়যন্ত্র করে দেশের বিভিন্ন নিউজ চ্যানেল শেয়ার সোল্ডার করে মিথ্যা প্রচারে লিপ্ত হয়েছে। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, আমেরিকা থেকে বায়ুসেনার বিমানে করে ভারতীয়দের হাতে পায়ে শিকল বেঁধে আনা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ ভারত সরকারের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির নেই।
এ বিষয়গুলি নিয়ে কোন সংবাদ মাধ্যমে আলোচনা পর্যন্ত দেখা যায়নি। আরো আশ্চর্যের বিষয় হল, দেশের চার হাজার স্কয়ার কিলোমিটার জমি দখল করে আছে চীন। অথচ এই জমি ফিরিয়ে আনতে কোন উদ্যোগ নেই ভারত সরকারের। তিনি আরো বলেন, বিজেপি ননসেন্স! তাদের চিন্তাধারা যদি দেশবাসীর মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে পারে তাহলে দেশ আরো বেশি দুর্বল হবে, দেশের মানুষ মানুষের বিরুদ্ধে লড়াই করবে, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভেঙবে। দেশে আগুন দাউদাউ করে জ্বলবে বলে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন। তিনি আরো বলেন, বিজেপি স্বাধীনতা মানে না, সংবিধান মানে না। এই বিজেপি এবং আরএসএস সংবিধান প্রণেতা ডঃ বি আর আম্বেদকর, মহাত্মা গান্ধী এবং জহরলাল নেহেরুকে পর্যন্ত অপমান করে, তারা শুধু নাথুরাম গডসের পূজারী। আর এই কথাগুলি বলার পেছনে মূলত একটাই কারণ এগুলির সাথে দেশের মানুষের স্বার্থ জড়িত বলে জানান তিনি।