ভক্তির স্পন্দনে ঐক্যের শক্তিপীঠ: প্রসাদ প্রকল্পে পুনর্জাগরিত ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরের ঐতিহাসিক রূপান্তর উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী

Temple of devotion, seat of unity: Hon’ble Prime Minister to unveil the historic transformation of Tripureshwari Temple under the PRASAD Project.
Temple of devotion, seat of unity: Hon’ble Prime Minister to unveil the historic transformation of Tripureshwari Temple under the PRASAD Project.

নিজস্ব সংবাদদাতা, গোপাল সিং, ত্রিপুরা

ত্রিপুরায় আধ্যাত্মিক তীর্থের নবযাত্রা। প্রসাদ প্রকল্পে দীপ্তি ছড়াবে মাতা ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির। আসছে — ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৫: ‘প্রসাদ’ প্রকল্পের আওতায় সৌন্দর্যায়িত ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের পবিত্র মন্দিরে প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে পূর্ণ ঐশ্বর্য লাভ করবে উদয়পুর। দেশের যশস্বী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ২২ তারিখে ত্রিপুরায় এসে মায়ের আরাধনায় নিজেকে নিবেদিত করবেন।

ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির —একান্ন শক্তিপীঠের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অলঙ্কার। এই মন্দির বহু শতাব্দী ধরে ত্রিপুরার নানাবিধ জাতি ও উপজাতির মধ্যে মিলনের, ভক্তির ও আত্মার সংলাপের পবিত্র স্থান। প্রসাদ (PRASAD) প্রকল্পের অধীনে খরচ প্রায় ₹৫১–৫২ কোটি টাকা; রাজ্যের সহায়তাও প্রদান করা হয়েছে। শুধুই মন্দির নয়, দর্শনার্থীদের জন্য সজ্জিত পরিকাঠামো, পার্ক, যাচাইকৃত ভ্রমণ সুবিধাসহ সবকিছু মিলিয়ে এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে।

ত্রিপুরা, যেখানে বাঙালি, মিজো, ত্রিপুরী, নাগা, চাকমা ও বেশ কয়েকটি জাতি ও উপজাতি একই ভূমিতেই বাস করে, তাদের জন্য এই মন্দির শুধু একটি পবিত্র জায়গা নয়—একটি আত্মিক মিলনস্থল। মায়ের পায়জন ধুয়ে পরিচ্ছন্ন চেতনায় উঠে আসে একটি জনশ্রুতি—ভক্তি-আস্থা, সংস্কৃতির রং ছড়িয়ে উঠে গ্রামে-শহরে। টানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সময় কীর্তন, উৎসব, মেলা — সব মিলিয়ে হৃদয়স্পর্শী এক আধ্যাত্মিক আবেগ গ্রাস করবে মাটি ও আকাশকে। মানুষের চোখে আত্মার আলো, মানুষের কণ্ঠে অঞ্জলির সুবাস, মাতৃস্নেহে বিশ্বাসে এক নতুন অধ্যায় শুরু হবে।

রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী ডঃ মানিক সাহা ইতিমধ্যেই মন্দির ও মাতাবাড়ি পরিসর পরিদর্শন করেছেন, প্রশাসনিক প্রস্তুতির খুটিনাটি যাচাই করেছেন। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের প্রদেশ সভাপতি ও রাজ্যসভার সাংসদ রাজীব ভট্টাচার্য, মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহরায় ও রাজ্য প্রশাসনসহ সংস্কৃতি ও ধর্মতত্ত্বের প্রতিনিধিরা। তাঁরা সকলেই বলেছেন—এ উদ্বোধন শুধু একটি পার্থক্য নয়, এটি আত্মবিশ্বাস, সংস্কৃতি ও সার্বভৌমতার প্রতিফলন।

নতুন রূপে গোটা প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরে উদ্বোধনের পর থেকেই, মায়ের পাদপদ্মে দাঁড়িয়ে রাজ্যবাসীর প্রতিজ্ঞা আরও দৃঢ় হবে—ত্রিপুরেশ্বরী মায়ের আশীর্বাদে যেন ত্রিপুরা তার ইতিহাস, সংস্কৃতি ও হৃদয়ের গাথাগুলো ধরে রাখতে সক্ষম হয়। ভক্তির মঙ্গলদীপ যেন জ্বলে ওঠে, জাতি ও সম্প্রদায়ের ভেদাভেদ ভুলে সবাই মিলেমিশে ঘটুক এক আধ্যাত্মিক মিলন; এক নতুন সূর্যোদয়ের শুরু হোক ২২শে সেপ্টেম্বর,২০২৫ইং।