The hospital is there, the patients are there too — the only thing missing is the doctors!
The hospital is there, the patients are there too — the only thing missing is the doctors!

ঘটনা কৈলাসহরের ভগবান নগর এলাকায় অবস্থিত ঊনকোটি জেলা হাসপাতাল। এই জেলা হাসপাতালে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রোগীদের পরিসেবা দেওয়ার কথা থাকলেও জেলা হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডক্টর দেবল কিশোর পাল প্রায় সপ্তাহেই অনুপস্থিত থাকেন কিংবা সময়মতো হাসপাতালে আসেন না। এই খবর দীর্ঘদিন ধরে রোগীরা করে আসছিলো। এব্যাপারে রোগীরা কয়েকবার জেলা হাসপাতালের আধিকারিকদের কাছে অভিযোগ করলেও চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেবল কিশোর পাল কাউকেই পাত্তাই দেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। গোটা ঊনকোটি জেলার বিভিন্ন দূর দূরান্ত থেকে চোখের রোগীরা টাকা পয়সা খরচ করে প্রতি সপ্তাহের মঙ্গলবারে জেলা হাসপাতালে আসার পর চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে পায়না। কুড়ি মে মঙ্গলবারেও একই চিত্র ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে দেখা গেলো। কুড়ি মে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটায় বিভিন্ন দূর দূরান্ত থেকে রোগীরা এসে ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে টিকিট কেটে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। প্রায় একশোর বেশী চক্ষু রোগীরা লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। রোগীরা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলে কি হবে, সকাল নয়টা, সাড়ে নয়টা, দশটা, সাড়ে দশটা, এগারোটা, সাড়ে এগারোটা দুপুর বারোটা বাজার পরও চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডক্টর দেবল কিশোর পাল হাসপাতালে আসেন নি। অথচ চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডক্টর দেবল কিশোর পাল হাসপাতালে এসে বহি: বিভাগে রোগী দেখবেন বলেই হাসপাতালের কাউন্টার থেকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। সেই লাইনে কম বয়সী রোগীদের পাশাপাশি মহিলারা এবং বয়স্ক রোগীরাও দাড়িয়ে ছিলেন। টিকিট নিয়ে রোগীরা ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে প্রচন্ড অপমানিত বোধ করেন এবং ক্ষুব্ধ হয়ে যান। রোগীরা লাইনে দাঁড়িয়ে সংবাদ প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে জানান যে, টাকা পয়সা খরচ করে বহু দূর থেকে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে রইলেন কিন্তু চিকিৎসক আসেন নি। নিজেদের কাজকর্ম ফেলে রেখে ডাক্তার দেখাতে এসে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে সময় নষ্ট করছেন সেই সময়ের মূল্য কে দেবে? রোগীরা এও জানান যে, শুধু কুড়ি মে মঙ্গলবারই নয়, এর আগেও অনেক দিন এসে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেদিনও ডাক্তার দেবল কিশোর পাল হাসপাতালে আসেন নি। অথচ জেলা হাসপাতালের বহি: বিভাগে অন্যান্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বারে সকাল নয়টা থেকে চিকিৎসকরা রোগী দেখা শুরু করলেও একমাত্র চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের চেম্বারে চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডক্টর দেবল কিশোর পাল অনুপস্থিত। এছাড়াও এই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ হলো, ঊনকোটি জেলা হাসপাতালে চক্ষু চিকিৎসার জন্য সমস্ত উন্নত পরিসেবা থাকলেও চক্ষু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডক্টর দেবল কিশোর পাল রোগীদের সাথে খারাপ আচরণ করেন এবং রোগীদের চোখের অপারেশনের প্রয়োজন হলে জেলা হাসপাতালে চোখের অপারেশন করান না। জেলা হাসপাতালের অপারেশনের মেশিন বিকল কিংবা অপারেশন থিয়েটার নষ্ট বলে রোগীদের জানিয়ে দেন চিকিৎসক ডক্টর দেবল কিশোর পাল। এভাবে চিকিৎসক ডক্টর দেবল কিশোর পাল নিজের মর্জি মাফিক জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা পরিসেবা দিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে