মেলাঘর রুদ্রসাগরের কচুরিপানা সরিয়ে পুনরায় নীরমহল পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার বিভিন্ন দপ্তরের প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করলেন পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। তিনি বলেন যেহেতু দেশে নির্বাচন আচরণবিধি লাগু রয়েছে তাই উন্নয়নমূলক কাজ এখন করা হচ্ছে না, তারপরেও তিনি রুদ্রসাগর পরিদর্শন করেছেন।
দ্রুত যেন রুদ্রসাগরের উপর ভাসমান কচুরিপনা সরানো যায় তার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি। তিনি জানান জি টুয়েন্টি সম্মেলনের সময় কচুরিপানা সরানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল, তারপর এবছর একটু বেশি পরিমাণ কচুরিপানা ছেয়ে গেছে সমগ্র রুদ্রসাগরে। তাই তিনি দ্রুত যেন এই রুদ্রসাগর থেকে কচুরিপানা গুলি সরানো যায় তার ব্যবস্থা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বৈঠকে বলে জানান মন্ত্রী। যার অর্থ ব্যয় করবে পর্যটন দপ্তর। বরাদ্দকৃত এই অর্থ পর্যটন দপ্তর তুলে দেবে মেলাঘর পুর পরিষদের হাতে। মেলাঘর পুর পরিষদ স্থানীয় লোকজন এবং রুদ্রসাগর সমবায় সমিতিকে সঙ্গে নিয়ে এই সৌন্দর্যায়ন বৃদ্ধির কাজটি শুরু করবে। কোথাও যাতে কোনরকম ত্রুটি না থাকে এর জন্য গোটা কাজটির সঙ্গে যুক্ত হবে মহকুমা প্রশাসন মৎস্য দপ্তর এবং বন দপ্তর ও।
মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন নিরমহল এবং রুদ্রসাগর একটি ঐতিহ্যবাহী পর্যটন কেন্দ্র। যা জায়গায় করে নিয়েছে বিশ্ব পর্যটন কেন্দ্রের মানচিত্রে ও রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক কাহা নিজেও চাইছেন পর্যটন কেন্দ্রগুলোর বিকাশ। পর্যটকরা আরো বেশি পরিমাণে এই সমস্ত পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে আসুক এটাই লক্ষ্য। রুদ্রসাগরের নাব্যতা রাশ পাচ্ছে এই বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, বর্ষার সময়ে জলের স্তর উপরের দিকে উঠে আসে। আর শুখা মরশুমে জলের স্তর নিচের দিকে নেমে যায়। কিন্তু রুদ্রসাগর জলাশয়কে কখনো শুকিয়ে যেতে দেখা যায় না।
রুদ্রসাগর জলাশয় এর নাব্যতা বাড়াতে হলে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হবে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করতে হলে আলোচনা করতে হবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তর, মৎস্য দপ্তর বন দপ্তর এবং রাজ্যের জলসম্পদ বিভাগের সঙ্গে। এরপরই নিতে হবে একটি গঠন মূলক সিদ্ধান্ত। আর এই সিদ্ধান্ত নিতে হবে সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষকে। এর জন্য তিনি পর্যটন মন্ত্রী হিসেবে বিষয়টি উত্থাপন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহার কাছে। এদিন রুদ্রসাগরে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রশাসনিক বৈঠকে মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন পর্যটন দপ্তরের অধিকর্তা তপন দাস, এমএমসির চেয়ারম্যান অনামিকা ঘোষপাল রায়, মৎস্য দপ্তরের মৎস্য তত্ত্বাবধায়ক রণেন দেবরায়, মেলাঘর উদ্বাস্তু সমবায় সমিতির সভাপতি সম্পাদকসহ বনদপ্তরের মহকুমা অধিকারিক কমল ভৌমিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।