কংগ্রেসের কার্যকরী কমিটির সদস্য সুদীপ রায় বর্মন প্রশ্ন তুলেছিলেন সিএএ নিয়ে ত্রিপুরায় কেন তিপ্রা মোথা এমন নীরবতা পালন করছে? তার কিছুক্ষণের মধ্য়েই এনিয়ে মুখ খোলেন দলের প্রতিষ্ঠাতা প্রদ্যোত কিশোর দেববর্মা। তিনি জানিয়েছেন, আমি এনিয়ে সুপ্রিম কোর্টে লড়াই চালাচ্ছি। ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলে কখনওই সিএএ কার্যকরী করতে দেব না।
সিএএ ইস্যুতে প্রদ্যোত জানিয়েছেন, ত্রিপুরা ট্রাইবাল এরিয়াস অটোনমাস ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলে কখনওই সিএএ কার্যকরী করতে দেব না। তিপরাসাদের জমির পাট্টার জন্য আমাদের লড়াই চলতেই থাকবে।
আরও পড়ুন-
- শ্রেয়স-বেঙ্কটেশের তাণ্ডবে আমদাবাদে IPL 2024-এর ফাইনালে কলকাতা
- ত্রিপুরা রাজ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাদ্যশস্য ও পেট্রোপণ্য রয়েছে : মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী
- দুই মাস ধরে বন্ধ ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘড়ি, কর্তৃপক্ষের নেই কোন হেলদোল
তিনি জানিয়েছেন তিপ্রা মোথা, কেন্দ্রীয় সরকার ও ত্রিপুরা সরকারের মধ্য়ে যে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি হয়েছে তাতে তিপরাসাদের পাট্টা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
তিনি বলেন, তিনি( সুদীপ) বলছেন আমরা কেন সিএএর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছি না। এই কেসটি সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে। এটা প্রদ্যোত কিশোর মানিক্য লড়ছেন। এটা সুদীপ রায় বর্মন লড়ছেন না।
তিনি বলেন, অনেক তিপরাসাস রয়েছেন যারা TTDAC-এর বাইরে রয়েছেন। তাদের কোনও সুরক্ষা নেই। আপনারা কি তাদের জন্য কথা বলেছেন? আমরা আমাদের সম্প্রদায়কে ভালোবাসি। আর আপনারা তাদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে দেখেন। এটাই ফারাক।
তিনি বলেন, ২০১৬ সালে যখন কংগ্রেস ক্রমশ নামছে তখন এই গ্রুপটা সোনিয়ার ছবিতে জুতো ছুঁড়েছিল।কিন্তু ওদের মতো আমি কংগ্রেসের অফিসকে তালাবন্ধ করে দিইনি। এরপর তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নামে স্লোগান দিয়ে তৃণমূলে চলে গেল। যখন তারা বুঝল দিদি ভোটে জিততে পারবেন না তখন তারা কোন পার্টিতে গেল? বিজেপি। এরপর মোদীর নামে স্লোগান তুলে ভোটে জিতল। যখন সিএম পোস্ট পেল না আবার কংগ্রেসে চলে গেল।