Nitish Pramanik
Nitish Pramanik

এই পরিস্থিতিতে নিজেদের পঞ্চায়েতগুলি ধরে রাখতে আসরে নেমেছেন বিজেপির সাংসদ মনোজ টিগ্গা।

বহু চেষ্টা করেও নিজেদের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি ধরে রাখতে পারছে না বিজেপি। এবার কোচবিহারে আরও দুটি গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল। মেখলিগঞ্জ মহকুমার দক্ষিণ হলদিবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রমীলা রায়বর্মন এবং পঞ্চায়েত সদস্য গোবিন্দ বর্মন বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। ফলে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল দখলে নিল। সঙ্গে মেখলিগঞ্জ মহকুমার আরেকটি গ্রাম পঞ্চায়েত পার মেখলিগঞ্জেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল।

এই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল (TMC) এবং বিজেপি (BJP) উভয় দলের গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাতজন করে পঞ্চায়েত সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে টসের মাধ্যমে সেখানে প্রধান ও উপপ্রধান নির্বাচন করা হয়। বোর্ড গঠন করে বিজেপি। এবার সেই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ডলি রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। ফলে সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল তৃণমূল।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, “গত লোকসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর বিজেপির অধীনে জেলায় থাকা চব্বিশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান-সহ অধিকাংশ সদস্যরা তৃণমূলে যোগদান করেছেন। ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত এমন রয়েছে যেখানে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। তবে সেখানকার প্রধান এখনও বিজেপিতে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশ প্রধান দলবদলের জন্য যোগাযোগ করছেন। আরও ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত এখন বিজেপির দখলে রয়েছে। সেটাও তাদের হাতছাড়া হওয়া এখন শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।”

এই পরিস্থিতিতে নিজেদের পঞ্চায়েতগুলি ধরে রাখতে তুফানগঞ্জ এলাকায় আসরে নেমেছেন  বিজেপির আলিপুরদুয়ার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ মনোজ টিগ্গা। আলিপুরদুয়ার লোকসভা (Alipurduar Lok Sabha) কেন্দ্রের অধীনে থাকা তুফানগঞ্জ বিধানসভা এলাকায় যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতে বিজেপি রয়েছে সেখানে মঙ্গলবার বিজেপির সাংসদীয় কর্মসূচি করেন এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের পাশে থাকার বার্তা দেন।
বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা বলেন, “জোর করে কোচবিহার জেলায় পঞ্চায়েত সদস্যদের দলবদল করানো হচ্ছে। মানুষ বিজেপিকে রায় দিয়েছিল তাই বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি বোর্ড দখল করেছিল। এখন পঞ্চায়েত সদস্য এবং প্রধানদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে তৃণমূল যোগদান করাচ্ছে।” তবু যে কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েত অবশিষ্ট রয়েছে তাঁরা বিজেপিতেই থাকবেন বলেই তিনি আশাবাদী।