ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের পর তৎপর পুলিশ। ই-রিকশা ও টোটোচালকদের সচিত্র পরিচয়পত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে আগেই। এবার নিউটাউন শহরজুড়ে সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। বুধবার রাতে নিউটাউন থানা এলাকার নাবালিকা খুন ও ধর্ষণের ঘটনাস্থল লোহাপুল, কেষ্টপুর-বাগজোলা খালপাড় লাগোয়া মৃধা মার্কেট, গৌরাঙ্গনগর ঢালাই ব্রিজ, মিশন বাজার ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে বসেছে অত্যাধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা।
নিউটাউন থানার পুলিশ জানিয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে আপাতত ২০ এনপিআর ক্যামেরা বসানো হয়েছে। অত্যাধুনিক মানের এই সিসি ক্যামেরায় রাতের অন্ধকারে গাড়ির নম্বর প্লেট-সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার উন্নতমানের ছবি ধরা পড়বে। পাশাপাশি শহর কর্তৃপক্ষ নিউটাউন কলকাতা উন্নয়ন নিগম বা এনকেডির ব্যবস্থায় শহরজুড়ে সিসি ক্যামেরা বসছে। পাশাপাশি মেরামতি ও স্ট্রিট লাইটে লাগানোর উপর জোর দিয়েছে সংস্থা।
৭ ফেব্রুয়ারি, নিউটাউনের লোহাপুরের কাছে নির্জন ঝোপের কিশোরীকে খুন ও ধর্ষণের পর শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন আবাসিকরা। ঘটনার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ খতিয়ে দেখে অভিযুক্ত ই-রিকশা চালক সৌমিত্র রায় ওরফে রাজকে গ্রেপ্তার করে বিধাননগর কমিশনারের পুলিশ। এরপর শহরের নাগরিক নিরাপত্তাকে আরও মজবুত করতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি এনকেডিএ আধিকারিক ও পুলিশ নিউটাউন থানা এলাকার বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করেন। এরপরই রাতের শহরে পথবাতি, সিসি ক্যামেরা, পুলিশি টলদারি, ই-রিকশা, টোটো চালকদের উপর নজরদারি চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, নিউটাউন থানা ওই সিসি ক্যামেরাগুলি নিয়ন্ত্রণ করবে।