1719497902 biman 22

বাংলার শপথ-সমস্যা নিয়ে এ বার রাষ্ট্রপতির দ্বারস্থ হলেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে একটি চিঠি লিখে বিমান জানিয়েছেন, বাংলার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস হবু বিধায়কদের শপথগ্রহণের মতো একটি বিষয় নিয়ে ‘একবগ্গা’ আচরণ করছেন। যা সুস্থ গণতন্ত্রের পরিপন্থী। একই সঙ্গে বিমান জানিয়েছেন, তিনি বিষয়টি নিয়ে বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল তথা বর্তমান উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।

রাষ্ট্রপতি মুর্মুকে লেখা সাত পাতার একটি চিঠিতে বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়েছেন বিমান। সেই সঙ্গে অনুযোগ করেছেন, ‘রাজ্যপালের একবগ্গা মনোভাবের জন্য ভাবী তৃণমূল বিধায়কেরা জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাঁদের কাজ শুরু করতে পারছেন না।’

বিমান নিজেই রাষ্ট্রপতিকে চিঠি লেখার খবর দিয়ে বলেন, ‘‘দুই জয়ী প্রার্থীর শপথগ্রহণ কেন্দ্র করে যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি। তাতে সমস্ত বিষয় উল্লেখ করেছি। বিআর অম্বেডকরের বলা কথাও উল্লেখ করেছি। পাশাপাশি উপরাষ্ট্রপতিকেও চিঠি দিয়েছি। কারণ, তিনি এক সময়ে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল ছিলেন।’

বিধানসভা উপনির্বাচনে জয়ী দুই তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রায়াত হোসেন সরকারের শপথগ্রহণ নিয়ে গত কয়েক দিন ধরেই টানাপড়েন চলছে রাজভবন এবং বিধানসভার মধ্যে। রাজ্যপাল সায়ন্তিকাদের রাজভবনে এসে শপথ নিতে বললেও সায়ন্তিকারা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁরা আর যেখানেই হোক, রাজভবনে শপথ নিতে যাবেন না। বদলে বিধানসভায় এসে রাজ্যপাল তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন অথবা বিধানসভার স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিতে পারেন।

এ নিয়ে রাজ্যপাল বনাম স্পিকারের বিতণ্ডার মধ্যেই পিছিয়ে যাচ্ছে সায়ন্তিকা এবং রায়াতের শপথগ্রহণ। রাজ্যপালের ‘অপেক্ষায়’ দুই হবু বিধায়ক বিধানসভায় সংবিধানের প্রণেতা অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় বসেছেন। তাঁদের ধর্না জারি থাকবে বলেই খবর।