শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘাওয়ালের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পর জানিয়েছেন আনন্দ বোস।
উপনির্বাচনে নবনির্বাচিত দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে রাজভবন-বিধানসভার টানাপোড়েন অব্যাহত। রাজ্যের শাসকদল ও বিধানসভার স্পিকার জটিলতা কাটাতে নানাভাবে সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন। কিন্তু নিজের সিদ্ধান্তে অটল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তাঁর দাবি, রাজভবনে (Raj Bhawan) গিয়েই শপথ নিতে হবে বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রেয়াত হোসেন সরকারকে। আর দুই বিধায়ক চান, রাজভবনে নয়, রাজ্যপাল বিধানসভায় এসে শপথ পড়ান। এসবের মাঝে শাসকদল ও মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। তিনি মানহানির মামলা দায়ের করতে চান। শুক্রবার দিল্লিতে (New Delhi) কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর নিজেই তা জানালেন সিভি আনন্দ বোস।
After the meeting with the Union Law Minister Arjun Ram Meghwal, the Governor of West Bengal CV Ananda Bose is going to file a defamation case in the court against West Bengal Chief Minister Mamata Banerjee and Trinamool Congress: Raj Bhavan, Kolkata
দুই বিধায়কের শপথগ্রহণ (Oath Ceremony) নিয়ে কার্যত নজিরবিহীন দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে আইনসভা ও রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানের কার্যালয়ের মধ্যে। এই টানাপোড়েনের জেরে নিজেদের কাজ শুরু করতে পারছেন না বলে অভিযোগ সায়ন্তিকা ও রেয়াতের। বিধানসভায় শপথ নেওয়ার দাবিতে অনড় থেকে দুজনেই রোজ ধরনায় বসছেন। পাশে পেয়েছেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বকেও। রোজই প্রায় দলের কোনও না কোনও শীর্ষ নেতা এই ধরনায় যোগ দিচ্ছেন। জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েও রাজ্যপালের কারণেই কাজে নামতে দেরি হচ্ছে, এই অভিযোগে সুর চড়ছে। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) বিষয়টি নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, ”রাজভবনের যা কীর্তিকলাপ, মেয়েরা ওখানে যেতে ভয় পাচ্ছে, আমাকে বলেছে।”
আর মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যেই ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। এর বিরুদ্ধেই সম্ভবত তিনি মানহানির মামলা (Defamation case) করতে চান। দিল্লিতে এদিন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুনরাম মেঘাওয়ালের সঙ্গে একান্ত বৈঠকের পর তা জানিয়েছেন আনন্দ বোস। মামলা করবেন শাসকদলের বিরুদ্ধেও। কোচবিহারের বিজেপির সংখ্যালঘু মহিলা কর্মীকে নগ্ন করে মারধরের যে অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়েও এদিন কড়া প্রতিক্রিয়া দেন বোস। এ নিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন।