মমতা সাফ জানান, ‘কারও চাকরি খাওয়ার অধিকার আমার নেই। কাউকে বেকার করার অধিকার নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষ হকারি করে খায়।’ লোকসভা ভোট মিটতেই সরকারি জমিদখল, হকার সমস্যা, পুরসভার কাজ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি।
হকার উচ্ছেদ লক্ষ্য নয়। সাফ জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়ে দিলেন, এখনই হকার উচ্ছেদ হবে না। ১ মাস সময় দিলেন তিনি। সঙ্গে জানালেন, হকারদেরই রাস্তা পরিস্কার করতে হবে। তবে কোনও এলাকায় নতুন করে হকার বসালে গ্রেপ্তার হতে হবে। নেতা বা পুলিশ যে-ই হকার বসান, তাঁকেও গ্রেপ্তার করা হবে। বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারি দিলেন মমতা।
লোকসভা ভোট মিটতেই সরকারি জমিদখল, হকার সমস্যা, পুরসভার কাজ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এর পরই রাজ্যজুড়ে উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। কিন্তু সেই অভিযান নিয়ে একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার ফের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে বসলেন। সেই বৈঠকে মমতা সাফ জানান, “কারও চাকরি খাওয়ার অধিকার আমার নেই। কাউকে বেকার করার অধিকার নেই। লক্ষ লক্ষ মানুষ হকারি করে খায়।”
তবে মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, “নতুন করে হকার বসালে গ্রেপ্তার হতে হবে। রাস্তা দখলের জন্য দায়ী রাজনৈতিক নেতা এবং পুলিশরাই। কাউন্সিলরদের প্রথম থেকেই এটা দেখা উচিত। কিন্তু তাঁরা দেখেও দেখছেন না। এলাকার নেতারা প্রথমে ডালা নিয়ে বসিয়ে দিচ্ছে তার পরে আর সরানো যাচ্ছে না। নিজেরাই বসাবেন, তার পরে বুলডোজ়ার চালাবেন, তা হবে না।” এর পর তাঁর সংযোজন, “আমি বলব, আপনারা লোভ সংবরণ করুন। জীবনধারণের জন্য যেটুকু দরকার সেটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকুন। কিন্তু তা হচ্ছে না।” পুলিশকেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “পুলিশের লোভ বেড়ে গিয়েছে আজকাল। গরিব হকারদের থেকে চাঁদা নিচ্ছে। মনে রাখবেন, আমার দল টাকা চায় না। তাই যে পুলিশকে ইন্ধন দিতে দেখা যাবে, তাকে সঙ্গে সঙ্গে সরানো হবে। কাউকে ছাড়ব না।” বেআইনি কিছু হলে পুলিশ, জেলাশাসক কাউকে ছাড়া হবে না, সাফ কথা মমতার।
এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, এখনই হকারদের উচ্ছেদ করা হবে না। ১ মাস সময় দিলেন তিনি। এর মধ্যে রাজ্য সরকার সার্ভে করবে। তবে হকারদের কাছে মমতার আর্জি, রাস্তা পরিষ্কার রাখতে হবে। নিজেদের মতো গোছানো শুরু করুন। সবাই মিলে একটা সুখী পরিবার তৈরি হোক।