মিনাখাঁ থেকে শাহজাহান শেখকে গ্রেফতার করার পর সোজা তাঁকে বসিরহাট মহকুমা আদালতে নিয়ে আসে পুলিশ। আদালতে তাঁকে ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদন করে পুলিশ। যদিও আদালত শাহজাহানকে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এ দিন পুলিশ আদালতে জমা দেওয়া নথিতে শাহজাহানকে ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’ বলে উল্লেখ করেছে। তাঁকে জামিন দিলে সন্দেশখালি এবং ন্যাজাট থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেও মনে করছে পুলিশ। নথিতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশ একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেছে।
EDর ওপর হামলার নির্দেশ দিয়েছিলাম আমিই, আদালতে স্বীকারোক্তি শাহজাহানের
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ‘বাঘে’র অনুগামীদের রোষের মুখে পড়েন ইডি আধিকারিকরা। সেই মামলাতেই ৫৫ দিন পর শাহজাহানকে গ্রেফতার করল রাজ্য পুলিশ। আদালতে জমা দেওয়া পুলিশের নথিতে শাহজাহানকে এলাকার ‘অত্যন্ত প্রভাবশালী’ ব্যক্তি বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ বলেছে যে, শাহজাহানকে জামিন দেওয়া হলে সাক্ষীদের ভয় পাওয়াতে পারেন, আবার নিজেও গা ঢাকা দিতে পারেন। শুধু ইডি আধিকারিকদের কাজে বাধা দেওয়াই নয়, কর্তব্যরত ইডি আধিকারিকদের যে ভাবে নৃশংস ভাবে নিগ্রহ এবং লুটপাট করা হয়েছে, তারও ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসাবে শাহজাহানের নাম জানিয়েছে পুলিশ।
যে সমস্ত সমাজবিরোধী গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে শাহজাহানের বাড়ির সামনে ইডি আধিকারিকদের মারধর, গাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটে যুক্ত ছিল, তাদের চিহ্নিত করতে শাহজাহানই পথ বলেও নথিতে দাবি করেছে পুলিশ। লুট হওয়া মালপত্রের কিছুই এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার পরেই দাবি করা হয়েছে, শাহজাহান পুলিশকে আশ্বস্ত করেছেন যে, তিনি লুটের মাল উদ্ধার করতে পুলিশকে সহযোগিতা করবেন। এ ছাড়াও, শাহজাহানকে এখনই জামিনে মুক্তি দিলে সরাসরি তার প্রভাব পড়তে পারে ইতিমধ্যেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি খারাপ থাকা সন্দেশখালি এবং ন্যাজাট থানা এলাকায়। তাঁর জামিনে মুক্তি এলাকায় হিংসার বাতাবরণ তৈরি করতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে পুলিশের নথিতে।
পুলিশের নথিতে জানানো হয়েছে, গত ৫ জানুয়ারি, ইডি আধিকারিকদের উপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর এবং লুটপাটের ঘটনাতেই ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার করা হয় শাহজাহানকে।