PTI05 12 2024 000066B 0 1715497071219 1715497079799

আজ ব্যারাকপুরে অর্জুন সিংয়ের প্রচারে এসে বাংলাকে পাঁচটি গ্যারান্টির কথা শোনালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাতে সংরক্ষণ থেকে রাম, সিএএ-র মতো ইস্যুর উল্লেখ ছিল। মেরুকরণের মন্ত্রে হেঁটেই আজ ব্যারাকপুর থেকে হিন্দুত্ববাদী ভোটকে একত্রিত করার চেষ্টা করলেন মোদী। পাশাপাশি তাঁর দাবি, ২০১৯ সালের থেকেও এবারে বাংলায় ভালো ফল হবে পদ্ম শিবিরের।

মোদী বলেন, ‘বাংলায় তৃণমূল সরকার রামের নাম উচ্চারণ করতে দেয় না। এখানে রামনবমী পালন করতে দেয় না। কংগ্রেস আর বামপন্থীরাও রাম নবমীর বিরুদ্ধে। Aofks তৃণমূল আর ইন্ডিয়া জোট তোষণের রাজনীতি করে। এরা বলে মোদীর বিরুদ্ধে ভোট জিহাদ করো।’ 

ভাটপাড়ার জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁর গ্যারান্টি নিয়ে বলেন, ‘আজ বাংলাকে আমি ৫টি গ্যারান্টি দিতে চাই। প্রথম গ্যারান্টি হল ধর্মের ভিত্তিতে কোনও সংক্ষণ প্রদান করা হবে না। দ্বিতীয় গ্যারান্টি হল, যতদিন মোদী থাকবে, ততদিন তফসিলি জনজাতির সংরক্ষণ কেউ শেষ করতে পারবে না। তৃতীয় রামনবমী পালন এবং রাম পুজোয় কেউ বাধা দিতে পারবে না। চতুর্থ গ্যারান্টি হল, যতদিন মোদী থাকবে, ততদিন রামমন্দিরে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্ত কেউ বদলাতে পারবে না।

আর পঞ্চম গ্যারান্টি হল কেউ সিএএ বাতিল করতে পারবে না। আর মোদীর গ্যারান্টি হল গ্যারান্টি পূরণের গ্যারান্টি।’ সিএএ নিয়ে বিরোধীদের দুষে আজ মোদী বলেন, ‘এই আইন নির্যাতিত শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার আইন। এতে কারও নাগরিকত্ব যাবে না। কিন্তু কংগ্রেস-তৃণমূলের মতো দল এটা নিয়ে মিথ্যে কথা বলছে। এরা মতুয়াদের, নমশুদ্রদের নাগরিকত্ব দেওয়ার বিরোধী।’

মোদীর কথায়, ‘কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার ওসিবিদের সব সংরক্ষণ মুসলিমদের দিয়ে দিয়েছে। বাংলাতেও তাই আপনাদের সতর্ক থাকতে হবে। ভোটব্যাঙ্কের এই রাজনীতির কারণেই সিএএ-র মতো আইনকে ভিলেন বানানো হয়েছে।’ এদিকে আজ দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে তোপ দাগেন নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, ‘কয়েক বছর আগে তৃণমূল সরকার নিয়ে সিএজি রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২ লাখ ৩০ হাজার কোটির কোনও হিসেবই তারা দেয়নি।’

এরপর শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির অন্যতম উদাহরণ হল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। এখানে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট পর্যন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভুয়ো ইন্টারভিউ নেওয়া হয়েছে। তৃণমূল সরকারের আমলে শুধু দুর্নীতিই হয়েছে। বাংলার এই লুটের পাইপয়সার হিসাব বুঝে নেব। কাউকে ছেড়ে কথা বলা হবে না। আর তাই বাংলার ভুক্তভোগীদের বলতে চাই, মোদী আছে। কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত বাঁচতে পারবে না।’