"Police raid Shweta Khan's residence in Domjur, Howrah, uncovering a sex racket operating under the guise of an event management company
"Police raid Shweta Khan's residence in Domjur, Howrah, uncovering a sex racket operating under the guise of an event management company

পুলিশের হেফাজতে থাকা মহসিনা বেগম ওরফে শ্বেতা খান ওরফে ফুলটুসির বাঁকড়ার ফকিরপাড়ার ফ্ল্যাটে এবার তল্লাশি চালাল পুলিশ। শনিবার গভীর রাতে ডোমজুড় থানা ও হাওড়া সিটি পুলিশের তদন্তকারীরা ফুলটুসির ফ্ল্যাটের তালা ভেঙে সেখানে ঢুকে তল্লাশি চালান। ওই ফ্ল্যাটেই সোদপুরের তরুণীকে রেখে মারধর করেছিল ফুলটুসি।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ফুলটুসির ফ্ল্যাট থেকে তেমন উল্লেখযোগ্য কোনও তথ্যপ্রমাণ পায়নি পুলিশ। তরুণীকে মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ ছাড়া আর অন্য কোনও তথ্যপ্রমাণ পায়নি পুলিশ। মারধরের সিসিটিভি ফুটেজ আগেই পেয়েছে পুলিশ। এছাড়া ফুলটুসি ও তার ছেলে আরিয়ান মধুচক্র চালায়, নীল ছবি বানায়, আগ্নেয়াস্ত্র, বোমা রাখে এরকম নানা অভিযোগ তুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও তথ্যপ্রমাণ পায়নি পুলিশ। মূলত স্থানীয় বাসিন্দাদের তোলা এই অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখতেই তদন্তকারীরা ফুলটুসির ফ্ল্যাটে হানা দিয়েছিলেন। তদন্তকারীরা মনে করেছিলেন, ফুলটুসির ফ্ল্যাটে গিয়ে তল্লাশি চালালে স্থানীয় বাসিন্দাদের তোলা এইসব অভিযোগের সমর্থনে কিছু তথ্যপ্রমাণ পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু সেরকম উল্লেখযোগ্য কিছুই পাননি তাঁরা। আর তাই মধুচক্র, নীল ছবি কিংবা নারীপাচারের মতো অভিযোগ নয়, হাওড়া সিটি পুলিশ তরুণীর তোলা মারধরের অভিযোগের ভিত্তিতেই শুধু তদন্ত এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে।

ফুলটুসি ও তার ছেলে আরিয়ানের বিরুদ্ধে সোদপুরের তরুণীকে খুনের চেষ্টা, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত, যৌন নির্যাতন, জোর করে আটকে রাখার ধারায় মামলা রুজু করেছে। আপাতত এগুলিরই তদন্ত করছে পুলিশ। রবিবার হাওড়া সিটি পুলিশের এক পদস্থ আধিকারিক জানালেন, ‘‘মধুচক্র চালানো, নীল ছবি বানানো কিংবা নারীপাচারের মতো যে অভিযোগ ফুলটুসির বিরুদ্ধে উঠেছে তার কোনও তথ্যপ্রমাণ এখনও পর্যন্ত আমরা পাচ্ছি না। আর তাই এখন তরুণীকে মারধরের অভিযোগের তদন্তই করবে পুলিশ। এর বাইরে আর কোনও তদন্ত আপাতত করা হচ্ছে না।’’আপাতত ফুলটুসি ও তার ছেলে আরিয়ান পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।