Mahua Moitra Former Member of the Lok Sabha

জল্পনা তৈরি হয়েছিল চার মাস আগেই। অবশেষে সোমবার তা সত্যি হল। মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে ওঠা টাকার বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল লোকপাল। বরখাস্ত তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ‘গুরুতর’ বলে বর্ণনা করা হয়েছে লোকপালের নির্দেশিকায়।

লোকপালের নির্দেশিকায় মহুয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ‘‘আমরা সিবিআইকে নির্দেশ দিচ্ছি, ধারা ২০(৩-এ) ধারার অধীনে অভিযোগের সমস্ত দিক নিয়ে তদন্ত করতে। এই নির্দেশ পাওয়ার তারিখ থেকে ছ’মাসের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই সঙ্গে সিবিআই প্রতি মাসে তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে পর্যায়ক্রমিক প্রতিবেদনও দাখিল করবে।’’

গত বছরের নভেম্বরের গোড়ায় ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে দাবি করেছিলেন, তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে প্রশ্ন-ঘুষকাণ্ডের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল। কিন্তু মঙ্গলবার পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ছিল না লোকপালের তরফে। লোকসভা ভোটের আগেই তা করা হল। প্রসঙ্গত, এ বারের লোকসভা ভোটেও মহুয়াকে তাঁর পুরনো কেন্দ্র কৃষ্ণনগরে প্রার্থী করেছে তৃণমূল।

মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, দুবাইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির কাছ থেকে টাকা নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া। নিশানা করেছেন শিল্পপতি গৌতম আদানিকে। সবটাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অস্বস্তিতে ফেলার জন্য। এই অভিযোগ জানিয়ে লোকসভার স্পিকারকে চিঠি দিয়ে মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বরখাস্ত করার দাবি তোলেন নিশিকান্ত। তার আগে মহুয়ার প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাই নানা অভিযোগ তুলে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান।

পরে হীরানন্দানি নিজেই হলফনামা দিয়ে জানান, মহুয়ার সংসদের লগ ইন আইডি জেনে তাতে প্রশ্ন পোস্ট করতেন তিনি। তবে ঘুষের অভিযোগ মানেননি। নিজের লগ ইন আইডি দেওয়ার কথা স্বীকার করলেও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ মানেননি মহুয়াও। যদিও মহুয়ার সাফাই না শুনেই লোকসভার এথিক্স কমিটি তাঁকে একতরফা ভাবে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছিল। গত ৮ ডিসেম্বর সেই সিদ্ধান্ত লোকসভায় পাশও হয়ে যায়.