হল না জিজ্ঞাসাবাদ। পৌঁছেও মিনিটখানেকের মধ্যে সিজিও কমপ্লেক্সে ছাড়লেন আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ সুহৃতা পাল। রাত ১১টা ৭ মিনিট নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছন তিনি। গাড়ি থেকে নামেনও অধ্যক্ষ। সূত্রের খবর, সিজিও কমপ্লেক্সের সামনে ছিলেন এক আধিকারিক। তাঁর হাতে কিছু নথিপত্র দিয়ে তৎক্ষণাৎ নিজের গাড়িতে ওঠেন অধ্যক্ষ। আন্দোলনকারীদের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের পর অধ্যক্ষকে হাসপাতালে ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে বলেই জানিয়েছিল সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা তাঁদের বিভ্রান্ত করেছেন বলেই দাবি আন্দোলনকারীদের।
বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশি ঘেরাটোপে হাসপাতালে ঢোকেন ডাঃ সুহৃতা পাল। নার্সদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। নার্সদের উদ্দেশে তিনি বলেন, “আমিও নিরাপত্তা দিতে চাই। আমার জন্মের পর এমন ঘটনা দেখিনি, তোমরা বিশ্বাস করো। আজ থেকে আরও নিরাপত্তা বাড়ানো হবে।” তাতে নার্সরা পালটা দাবি করেন, “আজ রাতে আপনাকেও থাকতে হবে।” প্রিন্সিপাল বলেন, “এক-দুদিন সময় দাও। স্বাস্থ্যভবনের সঙ্গে কথা বলে যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হবে।” তাতে উত্তেজিত হয়ে পড়ুয়ারা সমস্বরে বলতে শুরু করেন, “মিটিং পে মিটিং, কাজ কী হচ্ছে? নিরাপত্তা নিয়ে লিখিত প্রতিশ্রুতি চাই। বলুন দেবেন।” এর পর তাঁরা স্লোগান তোলেন, ‘নো সেফটি, নো সার্ভিস।’ প্রিন্সিপাল বলেন, “সময় দিতে হবে। সব সমাধানের চেষ্টা করব।” ডেডলাইন পার হওয়ার পরেও নিরাপত্তা নিয়ে কোনও লিখিত প্রতিশ্রুতি না মেলায় সন্ধের দিকে ফের নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আর জি কর। প্রিন্সিপাল ঘেরাও করে অফিস ঘরে তালা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা।
এর পর সন্ধের দিকে হাসপাতালে পৌঁছয় সিবিআই। প্রিন্সিপালের ঘরে পৌঁছন আধিকারিকরা। সদ্য দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলে সিবিআই। এর পর রাত সাড়ে দশটা নাগাদ বিক্ষোভকারীদের সিবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়, আরও তথ্য প্রমাণ জোগাড়ের চেষ্টায় প্রিন্সিপালকে সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। সেই মতো হাসপাতাল থেকে নিজের গাড়িতে বেরন। সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছেও মিনিটখানেকের মধ্যে বেরিয়ে যান। সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা। সূত্রের খবর, পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে, তা স্থির করতে বৈঠকে বসতে চলেছেন আন্দোলনকারীরা।