নিউটাউনে কিশোরীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার জের। নিউটাউন চত্বরে কর্মরত মহিলা, যাঁদের মূলত নাইট শিফট করতে হয়, তাঁদের নিরাপত্তায় গাইডলাইন তৈরির দাবিতে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। শুনানির পর প্রধান বিচারপতির নির্দেশ, রাজ্যের সচিব এ ব্যাপারে সিনিয়র আধিকারিকদের টিম গঠন করবে। তারা পর্যালোচনা করে দেখবে কীভাবে নিরাপত্তার ব্যবস্থা উন্নত করা যায়। পরবর্তীতে একটি খসড়া তৈরি করে গোটা রাজ্যে তা বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, ‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প করা হয়েছে। যা মেডিক্যাল কলেজ,হস্টেল-সহ বিভিন্নক্ষেত্রে কর্মরত মহিলাদের জন্য প্রযোজ্য। এছাড়াও জানানো হয়েছে, ইলেকট্রনিক কমপ্লেক্স থানায় নিরাপত্তা বিষয়ক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এদিন হাই কোর্টে সেই বিজ্ঞপ্তির কপি জমা দেওয়া হয়েছে। সেখানে একাধিক বিষয় রয়েছে।
১. কলেজ মোড়, ওয়েবেল মোড়, এসডিএফ, আর ডি বি-সহ এই থানা এলাকার সব জায়গায় মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করেছে পুলিশ প্রশাসন।
২. পর্যাপ্ত আলোর ব্যাবস্থা করা হয়েছে। যাতে অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে কেউ অপরাধ করতে পারে।
৩. দিনভর এলাকায় পুলিশি টহল চলবে। উইনার্স প্রকল্পে মহিলা বাহিনীও থাকবে।
৪. পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। নবদিগন্ত ইন্ডাস্ট্রিয়াল টাউনশিপ কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সংবেদনশীল জায়গায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
৫. বাঘিনী প্রকল্পের মাধ্যমে আইটিতে কর্মরত মহিলাদের আত্মরক্ষার প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
৬. মহিলা বাহিনীর উইনার্স টিম প্রতিনিয়ত গাড়ি ও বাইসাইকেলের মাধ্যমে এলাকায় টহল দিচ্ছে।
৭. আর টি ভ্যানের মাধ্যমে পুলিশ টহল দিচ্ছে।
উল্লেখ্য, মামলাকারীর বক্তব্য ছিল হিমাচল, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক সরকারের এই বিষয়ে নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। রাজ্য ও সেই রকম গাইডলাইন তৈরি করুক।