বিবিধ বিষয়ে দল নিয়ে তাঁর ক্ষোভ ছিল। কখনও কখনও প্রকাশ্যে তা উগরেও দিয়েছেন। কিন্তু এ বার সে সবও ছাপিয়ে যেতে চলেছেন বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়। তাঁর ঘনিষ্ঠ সূত্রের খবর, সোমবার দুপুরে বিধানসভায় গিয়ে তাপস বিধায়ক পদে ইস্তফা দিতে পারেন। ঘনিষ্ঠমহলে তিনি রবিবারেই জানিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূল আর করবেন না! তৃণমূল আর করা যাচ্ছে না!
রবিবার থেকে দফায় দফায় তৃণমূলের ‘দূত’ তাপসের বাড়িতে গিয়েছেন। রবিবার গিয়েছিলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। সোমবার সকালে যাচ্ছেন রাজ্যের অপর মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। এই ‘অনুরোধ’-এর ঢেউয়ের মুখে তাপস তাঁর ইস্তফার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেবন কিনা, সেটাই দেখার।
যদি অনড় থাকেন, তার পরে কী?
তাপসের ঘনিষ্ঠ সূত্রদের বিশ্বাস করতে গেলে প্রবীণ এই রাজনীতিক বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন। অনেকে একাধিক ধাপ এগিয়ে এমন বলছেন যে, তাপস উত্তর কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থীও হয়ে যেতে পারেন। যদিও উত্তর কলকাতার জন্য সজল ঘোষের নাম প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। তাপস নিজে কোনও বিষয়েই কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সোমবার সকালে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমার যা যা করণীয়, সর্বসমক্ষেই করব। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে, সকলকে জানিয়েই করব। এই মুহূর্তে এর চেয়ে বেশি আর কিছু বলছি না।’’
আরও একটি কথা তিনি বলেছেন, যা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’। তাপসের কথায়, ‘‘আমি সেই বিধায়ক, গত ১৯৯৬ সাল থেকে বিধানসভা থেকে মেডিক্যাল বিল বাবদে একটা পয়সাও তুলিনি! আমি, আমার মা, স্ত্রী বা ছেলেমেয়ের জন্য এক পয়সাও নিইনি! সেই আমার বাড়িতে ইডি হানা দিল! কেন দিল? কে দেওয়ালেন?