সকাল থেকে দিনহাটায় তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে চলছে বনধ। চব্বিশ ঘণ্টা বনধ ঘিরে ফাঁকা রাস্তা। বন্ধ দোকানপাট। অশান্তির আশঙ্কায় রাস্তাঘাটে অন্যান্য দিনের তুলনায় কম মানুষজন দেখা গিয়েছে বুধবার সকাল থেকেই। যানবাহন প্রায় নেই বললেই চলে। রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে পুলিশি টহল চলছে। গাড়ি বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল ছয়টা থেকে ২৪ ঘণ্টার জন্য বনধ ডেকেছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার রাতে নিশীথ প্রামাণিকের নিরাপত্তারক্ষী কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের দিয়ে সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলেন উদয়ন গুহ৷ তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এই ঘটনার প্রতিবাদে দিনহাটায় বনধ-এর ডাক দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস৷ উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামানিকের নেতৃত্বে গতকাল রাতে পরিকল্পনা করে যে হামলা চালানো হয়েছে, দিনহাটাকে অশান্ত করা হয়েছে সেই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন দিনহাটা বনধে ডাক দেওয়া হয়েছে।’
ভোট আসতেই ফের উত্তপ্ত কোচবিহারের দিনহাটা। বুধবার রাতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নিরাপত্তারক্ষীর বিরুদ্ধে তৃণমূল কর্মীদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগকে কেন্দ্র করে উওাল হয়ে ওঠে দিনহাটা শহর। তৃণমূল শহর ব্লক সভাপতি মৌমিতা ভট্টাচার্য জানান, চেয়ারম্যান গৌরিশঙ্কর মাহেশ্বরীর বাড়িতে মন্ত্রী উদয়ন গুহর জন্মদিন পালন চলছিল। অভিযোগ, নিশীথের কনভয় ওই এলাকা দিয়েই ফিরছিল। কনভয় ঘিরে ধরার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ। তখনই নিশীথ প্রামাণিকের দেহরক্ষীরা লাঠিচার্জ করে উত্তেজিত তৃণমূল কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয় বলে জানা গিয়েছে।
এরপরই অশান্তি চরম আকার ধারণ করে। গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন নিশীথ প্রামাণিক। এদিকে, উদয়ন গুহ ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন। দু’জনের মধ্যে ধ্বস্তাধ্বস্তি হতেও দেখা যায়। চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। তৃণমূলের তরফে জানান হয়েছে, একাধিক তৃণমূল কর্মী জখম হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এদিনের ঘটনায় এসডিপিও ধীমান মিত্রর মাথা ফাটে। ঘটনার পরেই পাঁচমাথার সমস্ত দোকান বন্ধ হয়ে যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টার জন্য বনধের ডাক দেয় তৃণমূল কংগ্রেস।