গত সপ্তাহেই বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ শুল্কে ছাড় দিতে অসম্মত হয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আনতে নির্দেশিকা জারি করল বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মহম্মদ ফাওজুল কবির খান। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, আসন্ন রমজান মাস এবং গোটা গ্রীষ্মে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের (এসি) তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার ওপরে রাখতে হবে। এই নির্দেশিকা অমান্য করলে আইনি পদক্ষেপ করার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা পরবর্তী বাংলাদেশে রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেমন বদলে গিয়েছে, তেমনই আওয়ামি লিগ আমলের একধিক বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে অস্বস্তি তৈরি হয়। তার মধ্যে অন্যতম আদানি গোষ্ঠীর থেকে বাংলাদেশের বিদ্যুৎ কেনার চুক্তিটি। একদিকে যেমন ইউনুস সরকারকে বকেয়া দেনা শোধ করতে চাপ দেয় আদানি গোষ্ঠী। অন্যদিকে ঢাকার তরফে বিদ্যুতের অতিরিক্ত বিল নিয়ে অভিযোগ করা হয়। শুল্কে ছাড়ের দাবিও জানানো হয়েছিল। যদিও রয়টার্স সূত্রে জানা যায়, গত সপ্তাহেই অসম্মতির কথা জানিয়ে দিয়েছে আদানি গোষ্ঠী। এই অবস্থায় বাধ্য হয়ে বিদ্যুৎ খরচে রাশ টানতে নির্দেশিকা জারি করল অন্তর্বর্তী সরকার।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মহম্মদ ফাওজুল কবির খান এক নির্দেশিকায় জানিয়েছেন, এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি বা তার উপরে রাখতে হবে। নির্দেশিকা অমান্য করলে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে। এমনকী আইনি পদক্ষেপ করা হতে পারে গ্রাহকের বিরুদ্ধে। ফাওজুল কবির খানের কথায়, “এর ফলে দুই থেকে তিন হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা যাবে।” এই বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সকালের কাছেই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।