ভারতে চিকিৎসা করাতে এসে নিখোঁজ হয়েছিলেন বাংলাদেশের ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম। অবশেষে নিউটাউন থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করা হল। এর আগে সাংসদ কন্যা মমতারিন ফেরদৌস ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের দফতরে গিয়ে বাবার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন গত রবিবার। মমতারিন জানিয়েছিলেন, গত বৃহস্পতিবার থেকে বহু চেষ্টা করেও বাবা আনোয়ারুলের সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। এরপর প্রায় এক সপ্তাহ নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে উদ্ধার হল বাংলাদেশি সাংসদের মৃতদেহ।
রিপোর্ট অনুযায়ী, নিউটাউনের অভিজাত আবাসন থেকে উদ্ধার হয়েছে আনোয়ারুল আজিমের মৃতদেহ। আনোয়ারুল বাংলাদেশের শাসকদল আওয়ামিলিগের সদস্য ছিলেন। তিনবার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি। তবে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, তা নিয়ে ধন্দ কাটেনি এখনও। জানা গিয়েছে, গত ১২ মে দর্শনা সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশি সাংসদ। এরপর গত ১৬ মে থেকে সাংসদের ফোন বন্ধ হয়ে যায়। এর আগে নাকি তিনি নিজের সহকারী আবদুর রউফকে ঢাকায় ফোন করেছিলেন। তবে সেই সময় রউফ ফোনটি ধরতে পারেননি। পরে তিনি সাংসদকে ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পান।
কালীগঞ্জ উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন আনোয়ারুল। তিনি উপজেলা আওয়ামি লিগের সভাপতি পদে ছিলেন। ২০১৪ সাল থেকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সাংসদ তিনি। এদিকে রিপোর্টে জানা যায়, কলকাতায় এসে বরানগরে সিঁথি মোড় এলাকায় এক বন্ধুর বাড়িতে উঠেছিলেন বাংলাদেশি সাংসদ। ১২ মে গোপাল বিশ্বাস নামক সেই ব্যক্তির বাড়িতে ছিলেন আজিম। এরপর ১৩ মে দুপুর দেড়টা নাগাদ সেখান থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। পরে ১৮ মে গোপাল বিশ্বাস ১৮ মে বরানগর থানায় বাংলাদেশি সাংসদ বন্ধুর নিখোঁজ হওয়ার ডাইরি করেন। জানা গিয়েছে, কলকাতায় স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ দেখাতে এসেছিলেন আজিম। এদিকে টিভি৯ বাংলার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, পুলিশ অনুমান করছে এটা খুনের ঘটনা। এই আবহে যে আবাসন থেকে আজিমের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।