বিজেপি ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদল একই সঙ্গে হতে পারে বলে রাজধানীর রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তুঙ্গে। চলতি এপ্রিল মাসেই প্রথমে বিজেপির নতুন সর্বভারতীয় সভাপতির নাম ও কেন্দ্রীয় পদাধিকারীদের নামের তালিকা ঘোষণা হবে। তার দিন কয়েকের মধ্যেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবল হতে পারে বলেই শোনা গিয়েছে। তৃতীয়বারের মোদি মন্ত্রিসভায় প্রথম কোনও মুসলিম ‘মুখ’-কে জায়গা দেওয়া হতে পারে এমন সম্ভাবনাও প্রবল। সে ক্ষেত্রে পসমান্দা সম্প্রদায়ের কোনও ব্যক্তিকে কেন্দ্রীয় সংখ্যালঘু উন্নয়ন দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে জায়গা দেওয়া হতে পারে। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন জায়গায় নতুন ওয়াকফ আইন নিয়ে বিরোধিতা চলছে। নতুন আইন নিয়ে সোমবারই জোরালো সওয়াল করেছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। মোদি মন্ত্রিসভায় যে একজনও মুসলিম মুখ নেই তা উল্লেখ করে বিরোধীরা বারবরাই সমালোচনা করে থাকে। সেই সব কিছু সামলাতেই পসমান্দা মুসলিমকে জায়গা দেওয়া হতে পারে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এদিকে, চলতি এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই বিজেপির নতুন সভাপতির নাম ঘোষণা হওয়ার কথা। তার মাঝেই গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতি ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ ও এক ঘণ্টার বৈঠকই মন্ত্রিসভার রদবদলের জল্পনা উসকে দিয়েছে। আবার সেই একই সময়ে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের প্রায় দু’ঘণ্টা ধরে বৈঠক হয়েছে। যা কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলের জল্পনায় আরও গতি দিয়েছে। বিজেপি সূত্রের খবর, চলতি বছরেই বিহারের বিধানসভা ভোট রয়েছে। সেদিকে নজর রেখে সংগঠন থেকে মন্ত্রিসভা নতুন মুখকে জায়গা দেওয়া হতে পারে। এই তালিকায় প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের নাম জল্পনায় রয়েছে। পাশাপাশি শরিকদের মধ্য থেকে বেশ কয়েকজনকেও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হতে পারে বলে শোনা গিয়েছে। তাতে মহারাষ্ট্রের শরিক দলের বেশ কয়েকজন নেতা প্রফুল প্যাটেল, শ্রীকান্ত শিণ্ডের নাম আলোচনায় রয়েছে।

চলতি মাসেই মোদি মন্ত্রিসভায় রদবদল!