ভারতীয় ভোটারদের ‘ভোটদানে উৎসাহ দিতেই’ নাকি ২১ মিলিয়ন ডলার দিত আমেরিকা। কিন্তু ক্ষমতায় ফিরে সেই অনুদান বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যার পর জলঘোলা হয়। বন্ধু ভারতের প্রতি কেন তাঁর এমন পদক্ষেপ সেনিয়েও নানা প্রশ্ন ওঠে। কিন্তু এবার এই অনুদান বন্ধ করা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করলেন ট্রাম্প। এক অনুষ্ঠানে গিয়ে তিনি বললেন, ভারতের নির্বাচনে কারচুপি করার চেষ্টা করেছিল জো বাইডেনের প্রশাসন! প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নাকি চাননি চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় ফিরুন নরেন্দ্র মোদি। নমোকে হঠাতেই অনুদানের নামে নাকি ওই টাকা ঢেলেছিল বাইডেন সরকার।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, বিশ্বের নানা প্রান্তে গণতান্ত্রিক ‘নির্বাচন প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে’ ৪৮৬ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ করেছিল আমেরিকার প্রাক্তন জো বাইডেন প্রশাসন। তার মধ্যে ভারতের জন্য বরাদ্দ ছিল ২১ মিলিয়ন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় এই অঙ্কটা প্রায় ১৮২ কোটি টাকা। এহেন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথমে তিনি জানিয়েছিলেন, “ভারতের প্রতি আমার যথেষ্ট শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু আমাদের দেশের করদাতাদের ২১ মিলিয়ন ডলার কেন আমরা ভারতকে দেব?”। কিন্তু এবার এই অনুদান বন্ধ করার কারণ নিয়ে অন্য দাবি করলেন ট্রাম্প। বুধবার রাতে তিনি মিয়ামিতে একটি সম্মেলনে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, “কী প্রয়োজন ছিল ভারতীয় ভোটারদের উৎসাহ দিতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করার? আমার সন্দেহ বাইডেন প্রশাসন ভারতের লোকসভা নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করতে চেয়েছিল। তারা হয়তো চেয়েছিল অন্য কেউ ভোটে জিতুক। এই বিষয়টি আমরা ভারত সরকারকেও জানাবো।”
দ্বিতীয়বার আমেরিকার মসনদে বসে নিজের প্রশাসন ঢেলে সাজিয়েছেন ট্রাম্প । সরকারের ‘অপব্যয়’ কমাতে ‘সরকারি দক্ষতা বিভাগ’ নামে একটি নতুন দপ্তর খুলেছেন তিনি। যার মাথায় বসিয়েছেন টেসলা কর্তা এলন মাস্কে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি তিনি সোশাল মিডিয়ায় জানিয়ে দেন, ‘ভারতীয়দের নির্বাচনে উৎসাহিত করতে ২১ মিলিয়ন ডলার খরচ করত আমেরিকা। ভারতীয় মুদ্রায় এই অঙ্কটা প্রায় ১৮২ কোটি টাকা। কিন্তু এবার থেকে সেই টাকা আর দেওয়া হবে না। ভারতের পাশাপাশি অনুদান বন্ধ করা হবে অন্যান্য দেশেরও’।