চিনের মতোই ভারতের উপর শুল্ক চাপানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিকে সেই তিনিই ভারতের প্রধামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ‘বন্ধু’ বলে পরিচয় দেন। ট্রাম্প-মোদি বন্ধুত্বের চর্চা গোটা বিশ্বে। এই বন্ধুত্বের রসায়ন ঠিক কী? শনিবার রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে তার ব্যাখ্যা দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর।
জয়শংকরের ব্যাখ্যা করেন, জাতীয়তাবাদই উভয় রাষ্ট্রপ্রধানের বন্ধুত্বের ব্রিজ। তাঁরা একে অপরকে সম্মান করেন। দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাহিত্য উৎসবে নিজের ভাষণে বিদেশমন্ত্রী বলেন, “মোদি এক জন অত্যন্ত শক্তিশালী জাতীয়তাবাদী। আর ট্রাম্পও অনেকটাই সেই ধরনের মনোভাব প্রকাশ করে থাকেন। আমি মনে করি, অনেক দিন থেকেই জাতীয়তাবাদীরা একে অপরকে এভাবেই সম্মান করে থাকেন।”
জয়শংকর মনে করিয়ে দেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয়বার শপথ গ্রহণের পরেই মোদিকে ওয়াশিংটনে আমন্ত্রণ জানান ট্রাম্প। তিনি আরও দাবি করেন, মোদি-ট্রাম্প বৈঠক ইতিবাচক ছিল। কারণ দুই জাতীয়তাবাদী নেতা এক অপরকে সম্মানের চোখে দেখেন। যদিও অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীদের শিকল বেঁধে তাড়ানো থেকে শুল্কনীতি নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান বদলায়নি।
এদিকে ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধিতে আমেরিকার অনুদান নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। মার্কিন শিল্পপতি ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন মার্কিন দক্ষতা বিষয়ক দপ্তর সম্প্রতি জানায়, ভারতে ভোটের হার বৃদ্ধি করতে প্রায় ১৮২ কোটি টাকার অনুদান বন্ধ করবে তারা। এই তথ্য নিয়ে জয়শংকর জানান, উদ্বেগের তথ্য প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন। বিদেশমন্ত্রী বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ভারতের ভোটে মার্কিন অনুদান নিয়ে কংগ্রেস-বিজেপি কাজিয়া শুরু হয়েছে।