Protest in Agartala against arrest of Bangladesh Monk Chinmoy Prabhu
Protest in Agartala against arrest of Bangladesh Monk Chinmoy Prabhu

লাগাম ছাড়া সংখ্যালঘু নির্যাতন, বাড়ছে ভারত বিদ্বেষ। ইউনুসের বাংলাদেশ যেন হয়ে উঠেছে ত্রাসের দেশ। গত কয়েকদিনে হিংসার আগুনে আরো ঘি পড়েছে। এরূপ পরিস্থিতি কারণে ত্রিপুরার মানুষ ভারতবাসীর হিসেবে রাস্তায় নামছে। গত কয়েকদিনে লক্ষ করা যাচ্ছে বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বেড়েছে, একইভাবে হিন্দু সনাতনী নেতা চিন্ময় প্রভুকে পর্যন্ত বিনা কারণে গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশ পুলিশ। মঙ্গলবার আদালতের জামিন মামলার শুনানির কথা থাকলেও, চিন্ময় প্রভুর হয়ে কোন আইনজীবী আদালতে দাঁড়ায়নি। ফলে মামলার শুনানি আবারো পিছিয়ে গেছে।

আগামী ২ জানুয়ারি জামিন মামলার শুনানি হবে। এরই মধ্যে চিন্ময় প্রভুর মুক্তির দাবি এবং বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন বন্ধ করার দাবিতে মঙ্গলবার আগরতলা শহরে বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করল সনাতনী যুবা সংগঠন। এই মিছিলে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। তাঁর নেতৃত্বে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের সামনে থেকে মিছিল শুরু হওয়ার পর কিছুটা পথ এগিয়ে যেতেই জেলা পুলিশ সুপারের নেতৃত্বে থাকা পুলিশ এবং টিএসআর মিছিল আটকে দেয়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক পথসভায় হাতে মাইক্রোফোন নিয়ে দাবি করেন, বাংলাদেশ আমাদের পূর্বপুরুষদের। যারা আজ বাংলাদেশ নষ্ট করছে তাদের দ্বারা বাংলাদেশ তৈরি হয়নি।

এবং সেই দেশে ৩০ শতাংশ সম্পত্তি সংখ্যালঘুদের দ্বারা তৈরি হয়েছে। কিন্তু আজ সেই দেশে সংখ্যালঘুদের উপর অমানবিক নির্যাতন শুরু হয়েছে। সংখ্যালঘু অংশের মানুষের বাড়ি ঘর, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সবকিছু আজ সেই দেশে আক্রান্ত। গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশে সনাতনী ধর্মের মানুষের আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া চিন্ময় প্রভুকে পর্যন্ত গ্রেফতার করেছে সে দেশের পুলিশ। বাংলাদেশের এ ধরনের কার্যকলাপে গোটা বিশ্ববাসীর পর্যন্ত আজ উদ্বিগ্ন। কোন সভ্য সমাজ তাদের এমন কার্যকলাপ ভালো চোখে দেখছে না। এর বিরুদ্ধে সকলকে মাঠে নেমে কথা বলার প্রয়োজন বলে দাবি করলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক। এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হাজার হাজার মানুষ অংশ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকা তীব্র প্রতিবাদ জানান। বিশেষ করে এদিনের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন হিন্দু, বৌদ্ধ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধর্মের সাধু সন্তরা। শান্তির বার্তা দিলেন তারা।