বাংলাদেশ সরকার আগামী ৮ আগস্টকে ‘নতুন বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই দিনটি নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথগ্রহণের বর্ষপূর্তি স্মরণে পালন করা হবে। গত বছরের ৫ আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার পদত্যাগের পর, ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে। পদত্যাগের পেছনে একটি ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণআন্দোলন ছিল মূল চালিকা শক্তি।
এর পাশাপাশি, সরকার ৫ আগস্টকে ‘জুলাই অভ্যুত্থান দিবস’ এবং ১৬ জুলাইকে ‘শহীদ আবু সাঈদ দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। গত বছর রংপুরে ছাত্র-আন্দোলনের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত ছাত্র আবু সাঈদ-এর স্মরণে এই দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিবালয় থেকে এসব দিবস উপলক্ষে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, “প্রতিটি মন্ত্রণালয়, বিভাগ এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে যথাযোগ্য মর্যাদায় এসব দিবস পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” দিবসগুলোকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপনের নির্দেশিকার ‘খ’ শ্রেণিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়া, গত বছরের ঐতিহাসিক ছাত্র-আন্দোলনের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে জুলাই ও আগস্ট মাসজুড়ে ‘গণআন্দোলন দিবসসমূহ’ উদযাপনের জন্য একটি ৩৬ সদস্যের জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস এই কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
জুলাই ১ থেকে আগস্ট ৫ পর্যন্ত ৩৬ দিনব্যাপী উদযাপন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছে ইউএনবি।
এদিকে, জাপান সফরের সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস ঘোষণা দেন, আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে। তার এই ঘোষণার পর নির্বাচন কমিশন তাদের প্রস্তুতি জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে।
এই ঘোষণাগুলো দেশব্যাপী রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক মহলে নানা প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
August 8 will be celebrated as New Bangladesh Day, August 5 has been declared July Uprising Day, and July 16 will be observed as Martyr Abu Sayeed Day


