ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী-সহ অন্যান্য অভিযুক্তদের নোটিস পাঠাল দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালত। কয়েকদিন আগেই এই মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। বিশেষ বিচারপতি বিশাল গোগনে জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বক্তব্য পেশ করার অধিকার রয়েছে। ৮ মে ওই মামলার পরবর্তী শুনানি। এদিন বিচারপতি গোগনে বলেন, ”মামলার যে কোনও পর্যায়ে অভিযুক্তদের বয়ান পেশের অধিকার কোনও ন্যায়বিচারে প্রাণ সঞ্চার করে।” এদিন আদালত জানিয়েছে, চার্জশিটে যা ত্রুটি ছিল তা সংশোধন করা হয়েছে। এবার তা আনুষ্ঠানিক ভাবে গ্রহণ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সমস্ত অভিযুক্তদেরই বক্তব্য পেশের অধিকার রয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল মামলায় চার্জশিট পেশ করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেখানে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী এবং স্যাম পিত্রোদার নাম রয়েছে। উল্লেখ্য, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় নাম জড়ালেও এতদিন সোনিয়া-রাহুলের নামে চার্জশিট জমা পড়েনি। এই প্রথমবার তাঁদের নাম উঠল ইডির চার্জশিটে। এবার তাঁ দের নোটিস পাঠাল আদালত। এই মামলায় ইডি তদন্ত শুরু করে ২০২১ সালে। বিজেপি নেতা সুব্র্যহ্মণম স্বামীর দায়ের করা মামলায় আদালতের রায়ের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়। স্বামীর অভিযোগ ছিল, বেআইনিভাবে অ্যাসোসিয়েট জার্নাল লিমিটেডের ২০০০ কোটির সম্পত্তি দখল করেছে ইয়ং ইন্ডিয়া, যার শেয়ারহোল্ডার ছিলেন সোনিয়া এবং রাহুল-সহ আরও অনেকে। অ্যাসোসিয়েট জার্নাল লিমিটেড থেকেই প্রকাশিত হত ন্যাশনাল হেরাল্ড সংবাদপত্রটি। তাই এই মামলার প্রথম থেকেই কংগ্রেস নেতৃত্বের নাম জড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত এর আগে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় সোনিয়া, রাহুলদের একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। ন্যাশনাল হেরাল্ডের দপ্তরেও তল্লাশি চালিয়েছে। এই মামলায় অবশ্য কংগ্রেসের শীর্ষস্তরের কোনও নেতা এখনও গ্রেপ্তার হননি। কংগ্রেস অবশ্য বরাবরই ন্যাশনাল হেরাল্ডের সবরকম তদন্তপ্রক্রিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলেই দাবি করে।