অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথম মন কি বাত। স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর মাসিক অনুষ্ঠানের অনেকটা জুড়ে রইল ভারত জঙ্গিদমন অভিযানের সাফল্য। মোদি বলে গেলেন, সেনার বীরত্ব তো বটেই অপারেশন সিঁদুর একই সঙ্গে ‘মেড ইন ইন্ডিয়া’র শক্তির পরিচায়ক। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “অপারেশন সিঁদুরে ব্যবহৃত বেশিরভাগ অস্ত্রশস্ত্র এই দেশের মাটিতেই তৈরি। আমাদের সেনার, ইঞ্জিনিয়রদের, টেকনিসিয়ানদের, এই দেশের রক্ত-ঘামের পরিচায়ক এই সাফল্য।”
মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রী বললেন, “আমাদের সেনা জওয়ানরা বেছে বেছে জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছেন। এটা তাঁদের অদম্য সাহসিকতার যেমন প্রমাণ, তেমনি আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, প্রযুক্তি এবং সমরসজ্জার শক্তি। আত্মনির্ভর ভারতের সংকল্পও প্রকাশ্যে এসেছে।” প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য, “আমাদের ইঞ্জিনিয়র থেকে টেকনিসিয়ান, অপারেশন সিঁদুরের সাফল্যের নেপথ্যে সকলের ঘাম মিশে আছে।” বস্তুত অপারেশন সিঁদুরে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আকাশ সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম নিখুঁতভাবে পাক আক্রমণ রুখে দিয়েছে। ব্যবহৃত হয়েছে T-72 মেইন ব্যাটেল ট্যাঙ্কস।
প্রধানমন্ত্রী মন কি বাতে বললেন, “অপারেশন সিঁদুর ভারতের সাহসিকতার প্রতীক। যে দক্ষতায় নির্ভুলভাবে ভারতীয় সেনা জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছে সেটা অকল্পনীয়। এই অপারেশন সিঁদুর সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নতুন উৎসাহ এবং সাহস জোগাবে ভারতকে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গোটা দেশ অপারেশন সিঁদুরের বিরুদ্ধে একজোট। আজ আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, ক্ষুব্ধ। আজ দেশের অনেক পরিবারই সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইকে নিজেদের পরিবারের অঙ্গ হিসাবে যুক্ত করে নিয়েছেন।”
পহেলগাঁও জঙ্গি হামলার বদলাস্বরূপ গত ৭ মে পাকিস্তান ও পাক অধিকৃত কাশ্মীরে অভিযান চালায় ভারত। ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় জঙ্গিদের আঁতুড়ঘর। হামলা চলে সওয়া নাল্লা, সারজাল, মুরিদকে, কোটলি, কোটলি গুলপার, মেহমোন্না জোয়া, ভিমবের এবং ভাওয়ালপুরের জঙ্গি ঘাঁটিতে। এই অভিযানে শতাধিক জঙ্গির মৃত্যু হয়। শুধু তাই নয়, রাতারাতি অনাথ হয়ে যায় জইশ-প্রধান মাসুদ আজহার। ভারতের প্রত্যাঘাতে পরিবারের ১২ সদস্যকে হারায় মাসুদ। মন কি বাতে সেই অপারেশনেরই প্রশংসা করলেন প্রধানমন্ত্রী।